Description
রাজিব মাহমুদের গল্প লেখার শুরু থেকেই আমি তার একজন মনোযোগী পাঠক। প্রথম গল্প থেকেই মাহমুদ চেষ্টা করেছে গল্প লেখার প্রচলিত চর্চা এবং কাঠামোর বাইরে গিয়ে লিখতে। তার দ্বিধা ছিল নিজেকে নিয়ে। চলার বড় রাস্তা থেকে বেরিয়ে একটা নতুন পথ খুঁজে নেবার সামর্থ্য কি তার আছে-এ প্রশ্ন করেছে সে নিজেকে। এজন্য প্রথমেই সে দৃষ্টি ফেলেছে নিজের ওপর। পশ্চিমে উত্তর-কাঠামোবাদী সাহিত্য-চিন্তায় একসময় ঘোষণা এলো, ‘লেখক মৃত।’ মাহমুদ ভেবেছে, লেখক তো বেড়ালের মতো, তার আছে নয়টি জীবন; অথবা লেখক ফিনিক্স পাখির মতো, পুড়ে ছাই হয়ে আবারও জেগে ওঠে জীবনে। এইসব যাপনের ভেতর লেখক নিজেকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখতে থাকেন তার লেখা গল্পে; নিজের একটা ছায়া ধীরে ধীরে সচল হয়ে ওঠে গল্পজুড়ে। হয়ত সেজন্যই হ্যাঁ অথবা না এর গল্প’ এর বেশ ক’টি গল্পে লেখক নিজেই উপস্থিত। আমার কাছে মাহমুদের এই আত্মদর্শন-ক্ষমতাকে তার লেখক-সত্তার একটা বড় শক্তি বলে মনে হয়েছে।