Description
কোন এক অজানা সময়ে চিতা সামরিক বাহিনী দখল করে রেখেছিল সমতল ভূমি। তাদের যুদ্ধ ছিল সমতলের সময় নিরূপণের দর্শনের বিরুদ্ধে, ঘড়ি নির্মাণের বিরুদ্ধে। প্রথমে চিতারা নিষিদ্ধ করেছিল সেকেন্ডের কাঁটার ব্যবহার, তারপর মিনিটের কাঁটা, অবশেষে ঘণ্টার কাঁটার ব্যবহার নিষিদ্ধ হলো। তাদের নির্মমতায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল সমতল। সেই সমতলে অতীতে বাস করতেন মনীষী বিজ্ঞানীরা, যাদের যান্ত্রিক বলে আখ্যায়িত করা হতো। এই ভয়াবহ সংকট থেকে উদ্ধারের জন্য যান্ত্রিকেরা অতীতেই এক পথের সন্ধান দিয়ে গিয়েছিলেন। সমতলকে জয়ী করতে সেই সমাধানের পথে ভ্রমণ করে আমাদের তরুণ প্রটাগনিস্ট ত., যার সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে এক মহাবিশ্ব বিভক্ত হয়ে যেতে পারে অনুরূপ কতিপয় মহাবিশ্বে, তাই বিভিন্ন মহাবিশ্বে সমতলের এই কাহিনির পরিণতিও হয়েছে ভিন্ন। দিতার ঘড়ি বাংলা ভাষার বিজ্ঞান-কল্পকাহিনিতে ভিন্ন স্বাদ ও ভিন্ন উপাদানের প্রবর্তন করেছে। বিদগ্ধ পাঠক এই কাহিনির রহস্যের বিভিন্ন স্তর উন্মোচন-প্রক্রিয়ায় কৌতূহলী হবেন। বাংলাদেশের মানুষের কাছে এই কাহিনির যুদ্ধ অতি পরিচিত।