Description
এ গল্পটা আমি "আমার একাত্তর" নামে আমার গুগল ব্লগে প্রকাশ করতে শুরু করি। তখন থেকেই এক ধরনের অস্বস্তি বোধ করছিলাম নামটা নিয়ে। কারণ, একাত্তরে আমার বয়েস ছিল মাত্র সাত বছর আর সাত বছরের এক শিশুর "আমার একাত্তর" বলাটা এক ধরনের দুঃসাহস। কথাটা বলার জন্য একাত্তরকে যেভাবে ধারণ করতে হয় সেভাবে আমি কতটুকু পেরেছি, সে এক বিশাল প্রশ্ন। একাত্তরকে শুধু ধারণ করাই নয়, "আমার একাত্তর" বলার জন্য নিজের রক্ত, ঘাম, বুদ্ধি, সাহস দিয়ে ইতিহাস গড়তে হয়, আর যাই হোক অন্ততঃ বয়েসের কারণে হলেও আমার পক্ষে সেটা সম্ভব ছিল না। তাই আমার মনে হয় "আমার একাত্তর" বলার ধৃষ্টতা না দেখানোই ভাল। তাছাড়া লেখাটার পাণ্ডুলিপি যখন কাকুকে মানে দ্বিজেন শর্মাকে দেখাই, উনিও বলেন নামটা পরিবর্তন করতে, কেন না এই নামে অনেকেরই একাত্তরের স্মৃতিচারণ আছে। উনি নিজে পাণ্ডুলিপির উপর লিখে দিয়েছিলেন "খোকাবাবুর একাত্তর"। তবে সে নামটাও টেকে নি, কেন না আমাদের বাড়িতে "খোকা" নামে পরিচিত ছিলেন আমার ছোট কাকা। বাবা আর জ্যাঠামশায় ছোট কাকাকে খোকা নামে ডাকতেন। তখন থেকেই শুরু নতুন নাম খোঁজা। ছেলেবেলার একাত্তর বা একাত্তরে ছেলেবেলা – এরকম নাম মনে আসতে থাকে। তবে সমস্যার সমাধান করে স্মিতা আর সুমিত। ওদের থেকেই প্রস্তাব আসে গল্পের নামটা "একাত্তরের সাতসতেরো" দেবার। এতে একাত্তর যেমন আছে, তেমনি আছে আমার সাত বছর বয়েস আর এই দুহাজার সতেরো, যখন আমি গল্পটা শেষ করলাম। সংখ্যাতত্ত্ব আমার প্রিয় বিষয়গুলোর একটা – সেদিক থেকে ৭১-৭-১৭ যেমন মনে ধরে, তেমনি ভাবে সাতসতেরো, মানে একাত্তরের এক শিশুর জীবনের খুঁটিনাটি গল্প।