Description
পারিপার্শ্বিক সমাজ বাস্তবতার বাঁক বদলের মতোই জাহানারা পারভীন নিজেকে পূর্বাপর কাব্যগ্রন্থ থেকে আলাদা করে তার জাত চিনিয়েছেন 'স্কুল বলতে তোমাকেই বুঝি’ দীর্ঘ কবিতায়। মহাকাব্যিক দ্যোতনার মধ্য দিয়ে মহাবিশ্বের সঙ্গে ‘আমি’ সত্তার যে সংশ্লেষ স্থাপনের চেষ্টা, নিজস্ব কাব্যভাষায় তার সার্থক উপস্থাপন এই কাব্যগ্রন্থ। বাস্তব-পরাবাস্তব- অধিবাস্তবের মেলবন্ধন ‘স্কুল বলতে তোমাকেই বুঝি কাব্যগ্রন্থটি। প্রতীচ্য ও প্রাচ্যের নানা প্রসঙ্গ অনুষঙ্গের অবতারণার ভিতর থেকেও একবারও ভুলে যাননি কবি, তার আপন সংস্কৃতি-ঐতিহ্য ও স্থানিকতা। এখানেই জাহানারা পারভীনের স্বাতন্ত্র্য স্পষ্ট।
তিনি যখন বলেন, “আগুনের জুতাপায়ে বরফে হেঁটে যাওয়া পথিকেরা কোথায় যায়, কোন ক্ষতের নির্দেশনা দেয়, কিংবা বাদামের খোসায় ঘুমিয়ে থাকা পিঁপড়ের স্বপ্নে কিভাবে আসে চিনিকল’, কিংবা ‘ত্রিভূজ দেশে যাইনি কখনো, যেখানে গণিকাদের গ্রামে হাসি, গান আর নাচের মুদ্রা কিনতে মাঠভর্তি দর্শক দাঁড়িয়ে থাকে বিশ্বকাপের গ্যালারিতে । লাতিন মেয়েরা চোখের জলে ভিজিয়ে দেয় খদ্দেরের পা । আমি সেই জমকালো নাচের ধাধার আড়ালে থাকা তোমাকে দেখব বলে বহুবছর এক শুকপাখি হয়ে বন্দী থেকেছি খাচায় । এসব চিত্রকল্পে তিনি তৈরি করেন ঘোর লাগা এক কাব্যবিশ্ব। পাঠক আপনাকে এমন কাব্যভুবনে আমন্ত্রণ।
তিনি যখন বলেন, “আগুনের জুতাপায়ে বরফে হেঁটে যাওয়া পথিকেরা কোথায় যায়, কোন ক্ষতের নির্দেশনা দেয়, কিংবা বাদামের খোসায় ঘুমিয়ে থাকা পিঁপড়ের স্বপ্নে কিভাবে আসে চিনিকল’, কিংবা ‘ত্রিভূজ দেশে যাইনি কখনো, যেখানে গণিকাদের গ্রামে হাসি, গান আর নাচের মুদ্রা কিনতে মাঠভর্তি দর্শক দাঁড়িয়ে থাকে বিশ্বকাপের গ্যালারিতে । লাতিন মেয়েরা চোখের জলে ভিজিয়ে দেয় খদ্দেরের পা । আমি সেই জমকালো নাচের ধাধার আড়ালে থাকা তোমাকে দেখব বলে বহুবছর এক শুকপাখি হয়ে বন্দী থেকেছি খাচায় । এসব চিত্রকল্পে তিনি তৈরি করেন ঘোর লাগা এক কাব্যবিশ্ব। পাঠক আপনাকে এমন কাব্যভুবনে আমন্ত্রণ।