Description
বিশ্বদীপ চক্রবর্তী লিখছেন বছর পাঁচ। ২০১৩ নাগাদ চেন্নাইবাসী বিশ্বদীপের সঙ্গে আমার আলাপ। সেই সময় ওঁর খোঁজ গল্পটি পড়ে অবাকই হয়েছিলাম। এমন গল্প তো সচরাচর পড়া হয় না। মা বাবা কন্যা, তিন জন পৃথিবীর তিন শহরে।পরবাসী সদ্য বড় হওয়া কন্যাকে নিয়ে যে উদ্বেগ, তা-ই ছিল সেই গল্পের বিষয়। দূর নিউ ইয়র্কের হাইওয়েতে জিতেনের কন্যা রিন হারিয়ে গেছে প্রথম ডেটিং করতে গিয়ে। তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে জিতেন এবং মেঘনার। সাংহাই এবং দিল্লির সঙ্গে নিউ ইয়র্কের। রিনের মোবাইল বন্ধ। নিউ ইয়র্কে রাত বারোটা। কিছু আগে জিতেনের সঙ্গে কথা হয়েছিল, তখন মেয়ে ছিল কোনো রেস্তোরাঁয়। বাজনার শব্দ পেয়েছিল জিতেন। এখন এশীয় মহাদেশের দ্বিপ্রহরের সঙ্গে পশ্চিমের মধ্য রাতের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। জিতেনের চিনা সহকর্মী জেরী গুগুল ম্যাপ খুলে বসেছে। একজন মেধাবী লেখক টেকনোলজি এবং মানুষের হৃদয়, উদ্বেগ দুই বিপরীত অনুষঙ্গকে মিলিয়ে দিয়েছিলেন এই গল্পে। গুগুল ম্যাপ, জিপিএস দিয়ে রিনকে খুঁজে বের করতে চেষ্টা করছে জেরী এবং অস্ট্রেলিয়ার পল। তাদের পাশে বসে আছে উদ্বিগ্ন পিতা জিতেন। গল্পটি লেখা হয়েছিল ২০১২-তে। তখন প্রযুক্তির এই শক্তি আন্দাজ করা যেত না। ততটা পরিচিত ছিল না প্রযুক্তির অসীম সম্ভাবনা। এখন প্রযুক্তি গল্পের নতুন উপাদান। বিশ্বদীপ প্রযুক্তিকে ব্যবহার করেন তাঁর গল্পে। এবং সেই গল্প হয়ে ওঠে মানব জীবনেরই রহস্য উদঘাটনের আর এক সহায়ক।