Description
“আজফার হোসেনের সদ্য প্রকাশিত গ্রন্থ দর্শনাখ্যান দশদিক প্লাবিত করার মতো সাহসকে উসকে দেয়। তিনি কবিতা, ইতিহাস, গণিত, বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, দর্শন, অর্থনীতি, প্রত্নতত্ত্ব, ভূগোল, রাষ্ট্রনীতির মতো দাপুটে বিষয়গুলো হাতের মুঠোয় নিয়ে অনায়াসে লিখলেন পাতার পর পাতা। […] তাঁর কাব্যের দর্শন এবং দর্শনের কাব্যকে ধারণ করেছেদর্শনাখ্যান।দর্শনাখ্যানবাংলা ভাষার সুপাঠ্য দার্শনিক কাব্য।”
“এবারের বইমেলায় (২০১৯) দর্শনাখ্যান নামে গুরুতর এক বই প্রকাশিত হয়েছে। মার্কসবাদী বুদ্ধিজীবী ও লেখক আজফার হোসেন বইটির রচয়িতা। [...] আধুনিক কালে ফ্রানৎস ফানো, বাল্টার বেনিয়ামিন, রোমান ইয়াকবসন, আলান বাদিয়ুর দর্শনাখ্যানেও সাহিত্য থেকে দর্শনের সত্য হাজিরের সাক্ষাৎ মেলে। তবে বিষয় আর চেতনাগত দুভাবেই। আর এবার বাংলা ভাষায় আজফার হোসেন নতুন ভাষ্যেদর্শনাখ্যানহাজির করেছেন।“
–সাখাওয়াত টিপু,দৈনিক আমাদের সময়
“বই মেলা থেকে যেসব বই পেয়েছি তার মধ্যে বিশেষভাবে ভালো লেগেছে আজফার হোসেনেরদর্শনাখ্যান। ছোটো ছোটো বিষয়কে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করার অসাধারণ ক্ষমতা আছে লেখকের।”
–সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম (আলোচনা, ‘সকালের বাংলাদেশ,’ যমুনা টেলিভিশন)
“আজফার হোসেনের গদ্য অনেক ভালো। তিনি লেখেন এমন ভঙ্গিতে এবং এমন বিষয়ে, যার নমুনা বেশি পাওয়া যায় না। দর্শন, রাজনীতি, কাব্য এবং সাম্প্রতিক তথ্যগুলো একত্র করে এমন সব বিষয়ে তিনি বিবরণী তৈরি করেন, যা আমরা আগে ভেবেই দেখিনি। বইটি নতুন ভাবনার খোরাক জোগাবে বলে মনে হয়।”
–মোহাম্মদ আজম,দৈনিক প্রথম আলো
“দর্শনাখ্যান-এর ভূগোলে ঢুকে দেখি সে এক এলাহি কাণ্ড। তত্ত্ব আর আবেগের দারুণ এক মজমা! তর্জনীর ওঠানামা, চোখের শাসানি, কণ্ঠস্বরের বিচিত্র স্কেল, সর্বহারা মানুষের কলকোলাহলে ভরা এক জগৎ। এছাড়া আছে, মিথের মতো জেঁকে বসা ‘মূলধারার চিন্তার’ জঞ্জালকে ‘নতুন চিন্তার’ বুলডোজার দিয়ে নির্মমভাবে ভাগাড়ে ফেলার প্রাণান্তকর চেষ্টা। সব মিলিয়ে একজন রাগী বুদ্ধিজীবীর সাক্ষাৎ স্পষ্ট এই বইয়ে।”
–কুদরত-ই-হুদা,পরস্পর
“দর্শনাখ্যানকয়েক পাতা উল্টেই আমার যে প্রতীতি হলো তা হলো এটি মণীষীদের উদ্ধৃতিগ্রন্থ। এখানে মনীষী অবশ্য একজনই–আজফার হোসেন। প্রজ্ঞাদীপ্ত সব উচ্চারণ, দার্শনিকের মতো সত্য উচ্চারণ! তার বিপুল পঠন-পাঠনের এক নির্যাস এসে মিশেছে নিজস্ব উপলব্ধির গভীরতায়। [...] কাল রাতে নিঃশব্দে [দর্শনাখ্যান-এর] 'নৈঃশব্দ্য' পর্বটি পুনঃপাঠ করতে গিয়ে তার জাদুকরী ভাষাজালের ভেতর এতটা জড়িয়ে গেলাম যে স্বতোৎসারণ ঘটল কবিতার। একে একে নয়টি চতুর্পদী লিখে ফেললাম। সবগুলোই আজফারকে নিবেদিত। ইয়েলো মার্কার নিয়ে বসেছি শ্রেষ্ঠ লাইনগুলোকে হলুদউজ্জ্বল করে তোলার জন্য, দেখি পুরো বইটিই হলুদউজ্জ্বল হয়ে উঠছে।”
–কামরুল হাসান, মুক্তকথা
“আজফার হোসেনের দর্শনাখ্যান বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও চিন্তার জগতে একটি নতুন সংযোজন ও অপূর্ব নিদের্শন হয়ে থাকবে আশা করি। এ ধারার গ্রন্থ বাংলা ভাষায় তো বটেই, বিশ্বসাহিত্যেও আমি আর দেখিনি। […] ১৫১ পৃষ্ঠার ছোট্ট বইটি এমন বিশাল ব্যপ্তি ধারণ করে আছে যে এই বইটি নিয়ে এক হাজার পৃষ্ঠার আরেকটি ব্যাখ্যাকারী গ্রন্থ রচনা সম্ভব। কতখানি জ্ঞান-প্রজ্ঞা, অর্ন্তদৃষ্টি ও অনুভূতির গভীরতা থাকলে এত অল্প কথায় এতগুলো বিষয় নিয়ে এমন স্বতঃস্ফূর্ত আখ্যানমালা রচনা করা যায়, তা ভাবলে সত্যিই বিস্মিত হতে হয়। এ বই বসলেই লেখা যায় না। এর জন্য দরকার দীর্ঘ প্রস্তুতি, অধ্যয়নের নিবিড় তপস্যা।”
–কামরুল আহসান,ছাড়পত্র