Description
বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতা যুদ্ধে সিরাজুল আলম খান (দাদা) এক বিশাল স্থান অধিকার করে আছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় এবং তাঁরই স্বপ্ন ও আদর্শকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র-শ্রমিক ও যুব সমাজকে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য তিল তিল করে গড়ে তোলার অসাধারণ দায়িত্বটি পালন করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার জন্য নিবেদিতপ্রাণ নেতা ও অসাধারণ সাংগঠনিক প্রতিভার অধিকারী সিরাজুল আলম খান। তখনকার অপর দুই ছাত্রনেতা আবদুর রাজ্জাক ও কাজী আরেফ আহমদকে সাথে নিয়ে তিনি সারা দেশে ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের প্রথম কাতারের কর্মীদের নিয়ে গোপন সংগঠন স্বাধীনবাংলা নিউক্লিয়াস গড়ে তোলেন। ১৯৭০-এর নির্বাচনের পর একদিকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যেমন সরকার গঠনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল অন্যদিকে সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্বে সশস্ত্র গণযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণের কাজও চলছিল পুরোদমে বঙ্গবন্ধুর অনুমতি ও নির্দেশনায়।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ঐ বিপ্লবী নিউক্লিয়াস ‘বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স’ (বিএলএফ) হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল সুজন সিং উবানের সমন্বয়ক ভূমিকার আওতায় সিরাজুল আলম খান, শেখ ফজলুল হক মনি, আবদুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমদের যৌথ নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে এক গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখতে সমর্থ হয়।
মুক্তিযুদ্ধের পর রাষ্ট্রীয় সামাজিক ও অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর সাথে বিএলএফ ও যুদ্ধ ফেরত বিশাল যুবশক্তির রাজনৈতিক মতবিরোধ দেখা দিলে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের বিপ্লবী গণসংগঠন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গড়ে তোলেন। লক্ষ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা জাসদের পতাকাতলে সমবেত হয়। জাতীয় রাজনীতিতে জাসদ পরিণত হয় সবচেয়ে বড় বিরোধী দলে।
১৯৭৪ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে জাসদের রাজনীতি স্তিমিত হয়ে আসে। ১৯৭৫-এর ৭ নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের পর তা নিভে যায়। এরপর থেকে জাসদের রাজনীতি জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে। আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতির অন্ধকার ও গোপন গলিতে জাসদের রাজনীতি খেই হারিয়ে ফেলে ও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পড়ে।
রাজনীতির নিঃসঙ্গ শেরপা সিরাজুল আলম খান আজও রাজনীতির দ্বারা সমাজ বদলের স্বপ্ন দেখেন। বয়স ও নানাবিধ অসুস্থতা তাঁর দেহকে অনেকটাই দুর্বল করে ফেললেও তাঁর অপ্রতিরোধ্য স্বাপ্নিক মন আজও এ দেশের অধিকার বঞ্চিত খেটে খাওয়া মানুষের জন্য শোষণমুক্ত একটি সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অতি ব্যগ্রতার সাথে কাজ করে চলেছে। সবাই হাল ছাড়লেও তিনি হাল ছাড়েননি।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ঐ বিপ্লবী নিউক্লিয়াস ‘বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স’ (বিএলএফ) হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল সুজন সিং উবানের সমন্বয়ক ভূমিকার আওতায় সিরাজুল আলম খান, শেখ ফজলুল হক মনি, আবদুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমদের যৌথ নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে এক গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখতে সমর্থ হয়।
মুক্তিযুদ্ধের পর রাষ্ট্রীয় সামাজিক ও অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর সাথে বিএলএফ ও যুদ্ধ ফেরত বিশাল যুবশক্তির রাজনৈতিক মতবিরোধ দেখা দিলে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের বিপ্লবী গণসংগঠন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গড়ে তোলেন। লক্ষ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা জাসদের পতাকাতলে সমবেত হয়। জাতীয় রাজনীতিতে জাসদ পরিণত হয় সবচেয়ে বড় বিরোধী দলে।
১৯৭৪ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে জাসদের রাজনীতি স্তিমিত হয়ে আসে। ১৯৭৫-এর ৭ নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের পর তা নিভে যায়। এরপর থেকে জাসদের রাজনীতি জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে। আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতির অন্ধকার ও গোপন গলিতে জাসদের রাজনীতি খেই হারিয়ে ফেলে ও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পড়ে।
রাজনীতির নিঃসঙ্গ শেরপা সিরাজুল আলম খান আজও রাজনীতির দ্বারা সমাজ বদলের স্বপ্ন দেখেন। বয়স ও নানাবিধ অসুস্থতা তাঁর দেহকে অনেকটাই দুর্বল করে ফেললেও তাঁর অপ্রতিরোধ্য স্বাপ্নিক মন আজও এ দেশের অধিকার বঞ্চিত খেটে খাওয়া মানুষের জন্য শোষণমুক্ত একটি সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অতি ব্যগ্রতার সাথে কাজ করে চলেছে। সবাই হাল ছাড়লেও তিনি হাল ছাড়েননি।