Description
আমরা সাদা চোখে যা দেখি তার সবটা কি আসলেই দেখি নাকি যা দেখতে চাই সেভাবেই ঘটনাকে সাজাই কিংবা ঘটাই? সত্য এবং মিথ্যার মাঝখানে যে ধূসর জায়গা, আসলে সেইখানেই আমরা তড়পাই; সমাজের দায় অনুযায়ী চশমার কাচ ঘষি-মাজি। তাই বিয়ের মন্ত্রেও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হয় কোনো হৃদয়ের(যদিদং হৃদয়ং তব) অথবা টুনুপিসির হাতের ওম মরার আগেই টুনুপিসি নিজেই মড়া হয়ে যায় (ভাসান) কিংবা আহেলি পাল্টে রজতপ্রভা হওয়ার সঙ্গে জুড়ে থাকে হলুদ জামার গল্প (আহেলি) বা অসাম্প্রদায়িক একাত্তরের সেই নিমগাছ উপড়ে গিয়ে অবিশ্বাসের দেয়াল ওঠে স্বাধীন বাংলাদেশে (গাছ), আবার নখের আঁচড়ের মানে পাল্টে দেয় চার মিনিট একুশ সেকেন্ডের ছোটো ভিডিও ক্লিপ(আঁচড়), অথবা মেয়েটা বাড়ির কাছ থেকেই ‘নেই’ হয়ে যায় হঠাৎ (চন্দ্রাবতী অথবা মেয়েটার গল্প)। যে মিথ্যার ভার সইতে না পেরে জীবন থেকে পালিয়ে যায় কেউ, সেই মিথ্যাই সত্যি হয়ে জীবন টানে অন্য কারো (কোনো এক লোলিটার গল্প), আর ফলের মাছিটা হয়ে যায় প্রতিশোধের প্রতীক (ফ্রুটফ্লাই)। আট বছর বয়সে শোনা ঘুমপাড়ানি গান পঁচিশ বছর পরে ফিরিয়ে আনে কাউকে (মেগান)। আবার জলভরা একলা মেঘটা চাঁদকে ছেড়ে যেতেই কেউ দেখে মিথ্যা কেমন বিচ্ছিরি ‘সত্য’ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সামনে (মাৎস্য)!
এইসব দেখে না-দেখার টানাপোড়েনকে ঘিরেই ‘আহেলি’র দশ গল্পের বৈঠক।