প্রতিবেদন লিখনের কলাকৌশল - রেজাউল করিম
Boierhut Publications
Description
এ-বিষয়ে ইংরেজি ভাষায় বহু পুস্তক থাকলেও বাংলা ভাষায় খুব কম। বাংলা ভাষায় গবেষণা পদ্ধতি ও প্রতিবেদন লিখন বিষয়ে হাতে গোনা দু’-একটি বই রচিত হলেও শুধুমাত্র প্রতিবেদন লেখার নিয়ম-কানুন সম্পর্কিত বই বাজারে তেমন নেই। গবেষণা পদ্ধতি বিষয়ক বইগুলোর শেষাংশে প্রতিবেদন লেখার নিয়ম-কানুন সম্বলিত অধ্যায় সকল শ্রেণির ব্যবহারকারীর চাহিদা পূরণ করে না বলেই মনে হয়। বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে নানা ধরনের প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে হয়। আবার সাম্প্রতিককালে বে-সরকারি বাণিজ্যিক সংস্থাগুলোও বার্ষিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। তাই পেশাগত জীবনেও অনেককেই প্রতিবেদন লেখার নিয়ম-কানুনের সাথে নতুন করে পরিচিত হতে হয়। কিন্তু প্রতিবেদন লেখার নিয়ম-কানুন সম্পর্কিত বিশেষায়িত বইয়ের অভাবে যথাযথ রীতি-নীতি মেনে অনেকেই প্রতিবেদন লিখতে পারেন না। দীর্ঘদিনব্যাপী প্রচলনের দরুন ‘অযথাযথ’ পদ্ধতিই ‘যথাযথ’ হিসেবে চালু হয়ে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই ‘মুখবন্ধ’ আর ‘ভূমিকা’ লেখার মধ্যে তারতম্য দেখা যাচ্ছে না। নিয়ম মেনে ‘গ্রন্থপঞ্জি’ লেখার অনুশীলন খুব কমই দেখা যাচ্ছে। এ ধরনের বিচ্যুতিসহ প্রকাশিত হচ্ছে অনেক প্রতিবেদন, এমনকি গবেষণা প্রতিবেদনও। বিশ্ববিদ্যালয়-পর্যায়ে স্নাতকোত্তর শ্রেণির গবেষণা প্রতিবেদন, ফ্রিল্যান্স গবেষকদের অ্যাকশন রিসার্চ কিংবা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার নানা ধরনের প্রতিবেদন লেখার ক্ষেত্রে এ বইটি সহায়ক হবে বলে আশাকরা যায়।