Description
ভানুচরণ মানুষটি বড়ো অদ্ভুত। আসতে আসতে কী মনে হল ভেড়িবাঁধ থেকে নেমে ঝাউবনের দিকে চলে গেল, যেন ঝাউবনে তার কন্থক রয়েছে। ছিল পক্ষীরাজ, হয়ে গেল কন্থক। ছিল ভানুচরণ, ভানু দাস হয়ে গেল ছন্দক। ঘোড়া হারিয়ে আরও উদাস হয়ে গেছে। না হলে ঘোড়াটাকে খুঁজতে বেরিয়ে আপন মনে অন্য দিকে চলে যায়! বলে কিনা, ‘ওই দিকে যাই, আপনি বাবু দেখে আসুন লায়কানখাস।’ সেই থেকে শ্রীপতি একা। একেবারে একা।
ভেড়িবাঁধের বাঁদিকে ঝাউবন। ঝাউবনের ওপারে সিংহসমুদ্র। হাজার সিংহ একসঙ্গে গজরাচ্ছে। সিংহর কথা বলেছিল কে? ফরাসি সায়েব ফ্রেদরিক। লায়ন লায়ন! শ্রীপতিরও তাই মনে হয়। সিংহই বটে। তবে গর্জন যখন থাকে না, শুধু ঢেউ ভাঙে অন্ধকারে, পাড়ের কাছে সফেন সমুদ্র বার বার মাথা কোটে, তখন মনে হয় সিংহ নয়, ও তার কেশর ফোলানো সাদা পক্ষীরাজ। পালাতে গিয়ে সাগরে গিয়ে পড়েছে। বার বার মাথা তুলছে নোনা জলের বিপুলতা থেকে। ঘোড়াটা কাঁদছে।
ভেড়িবাঁধের বাঁদিকে ঝাউবন। ঝাউবনের ওপারে সিংহসমুদ্র। হাজার সিংহ একসঙ্গে গজরাচ্ছে। সিংহর কথা বলেছিল কে? ফরাসি সায়েব ফ্রেদরিক। লায়ন লায়ন! শ্রীপতিরও তাই মনে হয়। সিংহই বটে। তবে গর্জন যখন থাকে না, শুধু ঢেউ ভাঙে অন্ধকারে, পাড়ের কাছে সফেন সমুদ্র বার বার মাথা কোটে, তখন মনে হয় সিংহ নয়, ও তার কেশর ফোলানো সাদা পক্ষীরাজ। পালাতে গিয়ে সাগরে গিয়ে পড়েছে। বার বার মাথা তুলছে নোনা জলের বিপুলতা থেকে। ঘোড়াটা কাঁদছে।